Notice Update

নাইজেরিয়ার ওনিসা এলাকার কয়েক মাইল উত্তর-পূর্বে ওগিডি-তে চিনুয়া আচেবে জন্মেছিলেন ১৯৩০ সালের ১৬ নভেম্বর তারিখে। তার বাবা ছিলেন গীর্জার দূত; তার মানে সপ্তাহের দিনগুলােতে তিনি মিশন স্কুলে পড়াতেন, আর একই সঙ্গে গ্রামের গীর্জার দায়িত্ব পালন করতেন। আচেবে-পরিবারের ছেলেমেয়েরাও মিশন স্কুলে পড়তাে, সেখান থেকেই চিনুয়া ভর্তি হয়েছিলেন উমুয়াহিয়া সরকারী কলেজে, ১৯৪৪ সালে। ১৯৪৮ সালে চিনুয়া ঢােকেন ইবাদানের বিশ্ববিদ্যালয়কলেজে, কলা-স্নাতক হন ১৯৫৩ সালে। তার পরে তিনি যােগ দেন নাইজেরীয় বেতার-ব্যবস্থায়, কথিকা- প্রস্তুতকারী হিসেবে। সেখানেই তিনি বেতারের বহির্দেশীয় প্রচারের পরিচালক হন, চলে যান লাগােসে। ১৯৫৮-১৯৬৬ সময়কালে চিনুয়া ৪টি উপন্যাস লেখেনথিংস ফল এ্যাপার্ট (১৯৫৮),নাে লঙার এ্যাট ইজ(১৯৬০), অ্যারৌ অব গড (১৯৬৪) এবং অম্যান অব দ’ পিপল (১৯৬৬)। ১৯৬৬ সালেই প্রকাশিত হয় চিকি আর নদী। পরবর্তীতে নানা ধারায় আরাে অনেক লেখেন চিনুয়া আচেবে। শুধু নাইজেরিয়ার নয়, গােটা আফ্রিকার আধুনিক সাহিত্য-সৃষ্টির ধারাটিকেই গড়ে তােলেন তিনি তাঁর লেখালেখির মধ্য দিয়ে। ২০১৩ সালের ২১ মার্চ প্রয়াত হন চিনুয়া আচেবে।

Bologna
Bologna

Sheikh Rafique(শেখ রফিক)

Date Of Birth 01 Mar, 1982

শেখ রফিক জন্ম: ১ মার্চ ১৯৮২, স্বরূপকাঠির বিষ্ণুকাঠি গ্রামে। মা: মমতাজ বেগম, বাবা: নূরুল ইসলাম। বিএসএস (সম্মান) ও এমএসএস (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। শশাষণ-বৈষম্যহীন সমাজ নির্মাণের দর্শন। মার্কসবাদ-লেনিনবাদের মতাদর্শিক রাজনীতির সাথে যুক্ত রয়েছেন। দৈনিক সংবাদ ও সাপ্তাহিক একতায় অনিয়মিতভাবে লিখছেন। সম্পাদক বিপ্লবীদের কথা (মাসিক পত্রিকা)।

৬০-এর দশকে পূর্ববাংলার রাজনৈতিক অবস্থা তাঁকে ক্ষুব্ধ করে। সরকারের উচ্চপদে অধিষ্ঠিত থাকায় তার চোখে পাকিস্তান মুসলিম লীগ ও সামরিক প্রশাসকদের শােষণ, বৈষম্য, বঞ্চনার রূপ প্রকট হয়ে ওঠে। ৭১-এর ভয়াল পঁচিশে মার্চ রাতের সংবাদ পাওয়ার আগেই দেশের সংকটজনক পরিস্থিতির কর্মপন্থা নির্ধারণ করে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ, বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে যােগাযােগ করে সংকট মােকাবিলার সিদ্ধান্ত নেন। মুক্তিযুদ্ধকালে ১৯৭১ সালের জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের আহ্বানে পূর্বাঞ্চলের আঞ্চলিক প্রশাসনের পদ থেকে মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদে যােগদান করেন। ১৯৭৫ সালের ২৬ আগস্ট পর্যন্ত তিনি এই পদে আসীন ছিলেন। বিজয়ের অব্যবহিত পর বাংলাদেশের বিপর্যস্ত প্রশাসন-ব্যবস্থা সচল করে তােলা এবং দেশ পুনর্গঠনের কাজে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অন্যান্য সহকর্মী এবং মন্ত্রিবর্গের সঙ্গে তিনি নিয়ােজিত ছিলেন। এই দায়িত্বে সাড়ে ৪ বছরে তিনি স্বাধীন। সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকারের নতুন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, করপােরেশন ইত্যাদির রূপরেখা তৈরি ছাড়াও পাকিস্তান। আমলের পুরাতন নিয়ম-কানুন ও পদ্ধতির আমূল সংস্কারে মুখ্য ভূমিকা রাখেন। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে বহু প্রবন্ধের রচয়িতা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক তাঁর বেশকিছু লেখা প্রকাশিত হয়েছে। সরকারি সংগঠন ও উন্নয়ন ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এইচ. টি. ইমাম পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ সফর এবং অসংখ্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন।

জন্ম ২ জানুয়ারি ১৯৪৬। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে স্নাতকোত্তর । সাপ্তাহিক একতার প্রথমে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক (১৯৭০-৭৩) এবং পরে সম্পাদক ছিলেন (১৯৭৩-৯১)। সম্পাদক * ছিলেন ভােরের কাগজ (১৯৯২-৯৮) পত্রিকার । প্রথম আলাের সম্পাদক (১৯৯৮ সাল থেকে)। উল্লেখযােগ্য গ্রন্থ ধনিকগােষ্ঠীর লুটপাটের কাহিনী (যৌথ, ১৯৮৭), খোলা হাওয়া খােলা মন (১৯৮৮), ইতিহাসের সত্য সন্ধানে বিশিষ্টজনদের মুখােমুখি (২০০৪), শহীদ নূর হােসেন (যৌথ, দ্বি. স. ২০১৩), আকাশভরা সূর্যর্তারা : কবিতা-গান-শিল্পের ঝরনাধারায় (২০১৪), মুক্ত গণতন্ত্র রুদ্ধ | রাজনীতি, বাংলাদেশ ১৯৯২-২০১২ (২০১৪)। এ ছাড়া উল্লেখযােগ্য সম্পাদিত গ্রন্থ একুশের পটভূমি : একুশের স্মৃতি (২০০৩), আমাদের কালের নায়কেরা ( (২০০৩), কৃতীদের মুখ (২০০৪), আলতাফ মাহমুদ: এক ঝড়ের পাখি (২০০৫) ফিলিপাইনের ম্যানিলা থেকে ‘সাংবাদিকতা, সাহিত্য ও সৃজনশীল যােগাযােগ’-এ ২০০৫ সালে পেয়েছেন র‌্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার ।।

দ্বিজেন শর্মার জন্ম ২৯ মে ১৯২৯ সালে, মৌলভীবাজার জেলার শিমুলিয়া গ্রামে। পিতা চন্দ্ৰকান্ত শৰ্মা এবং মাতা মগ্নময়ী দেবী। একাধারে নিসর্গবিদ, বৃক্ষপ্রেমিক, অনুবাদক, শিশুসাহিত্যিক, বিজ্ঞানলেখক,গবেষক ও শিক্ষক। উদ্ভিদ, ফুল, পাখি নিয়ে মেতে থেকেছেন সারাটি জীবন। এগুলো নিয়ে বলতে লিখতে পড়তে ভালোবাসেন। ১৯৫৮ সালে উদ্ভিদবিদ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। কর্মজীবন শুরু করেছিলেন শিক্ষক হিসেবে। বরিশালের ব্ৰজমোহন কলেজ ওঢাকার নটরডেম কলেজ, সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেন ও বাংলা কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। পরবর্তী সময়ে তিনি অনুবাদকের চাকরি নিয়ে তদানীন্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের মস্কো চলে যান। দীর্ঘকাল কাটিয়েছেন প্রবাসজীবন। সেই সুবাদে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, ফিনল্যান্ড ও জার্মানি ভ্ৰমণ করেছেন। সবখানেই বোটানিক গার্ডেন খ্যাত প্রধান-প্রধান পার্ক ও বাগান দেখেছেন আনন্দ ও আগ্রহে। অনেক লিখেছেন বিজ্ঞান, শিক্ষা ও প্রকৃতি বিষয়ে। পেয়েছেন বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার, চট্টগ্রাম বিজ্ঞান পরিষদের ড.কুদরাত-ই-খুদা স্মৃতি স্বর্ণপুরস্কার, এম নুরুল কাদের শিশুসাহিত্য পুরস্কার এবং শিশু একাডেমী পুরস্কারসহ নান পদক ও সম্মাননা।

জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর, মেহেরপুরে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৮৩ সালে সিলেটের এক চা বাগানের অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার হিসেবে শুরু হয় তার কর্মজীবন। মন টেকেনা চা বাগানে। যোগ দেন কলেজ শিক্ষকতায়। এখানো আছেন সেই পেশাতেই, মেহেরপুরের গাংনী কলেজে। একান্ত নিভৃতে কাব্যচর্চা দিয়ে লেখালেখির সূত্রপাত হলেও সত্তর দশকের শেষভাগে পত্রপত্রিকায় গল্প লিখেই আত্মপ্রকাশ সাহিত্যজগতে।