জহিরুল ইসলাম, জন্ম ৩০ মে ১৯৬৯, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ঘোষের টিকিকাটা গ্রামে। শৈশব-কৈশোর কেটেছে মঠবাড়িয়ার অপরূপ প্রাকৃতিক নৈসর্গের ধুলোবালি, কাদাজল গায়ে মেখে। বাবা মৃত আনছার উদ্দিন আহমেদ, মা পিয়ারা বেগম। পেশা সাংবাদিকতা। বর্তমানে দৈনিক বাংলাদেশের খবরের সম্পাদনা বিভাগে কর্মরত। এর আগে কাজ করেছেন দৈনিক জনকণ্ঠ, আমার দেশ এবং সকালের খবর পত্রিকায়। শিশু-কিশোর উপযোগী গল্প, উপন্যাস রচনা এবং অনুবাদ ছাড়াও পত্রপত্রিকায় ছোটগল্প, ফিচার ও নিবন্ধ লিখে থাকেন তিনি। তবে তার মূল ভাবনা শিশু-কিশোরদের নিয়েই। ছোট্ট সোনামণিদের জন্য সহজ-সরল গল্প এবং ছোট থেকে বড় সব বয়সের শিশু-কিশোরদের জন্য গল্প-উপন্যাস রচনা, অনুবাদসহ তাদের পাঠোপযোগী সব ধরনের প্রকাশনার আলাদা এক ভুবন গড়ে তোলার উদ্দেশ্য রয়েছে তার। জহিরুল ইসলাম বিশ্বাস করেন, শিশুমনে সুন্দর কিছু গেঁথে দিতে পারলে তার রেশ থেকে যায় আজীবন। সে লক্ষ্যেই তার লেখালেখি। লেখালেখি ছাড়াও ভাসমান শিশুদের মুখে হাসি ফোটানোর উদ্দেশ্যে গড়ে তুলেছেন ‘শিশুদের জন্য সুন্দর পৃথিবী’ নামে একটি সংগঠন। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তিনি।
১৯৮৯ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা, ২০১৪ পর্যন্ত কাজ করেছেন জাতিসংঘের সদর দপ্তরে। ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন ইউক্রেনের কিয়েভ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ঢাকায় সাংবাদিকতা করেছেন দৈনিক সংবাদ, ঢাকা কুরিয়ার ও সচিত্র সন্ধানীতে। কলাম লিখেছেন বাংলাদেশ টাইমস, বাংলাদেশ টুডে, সানডে স্টার, ভােরের কাগজ ও প্রথম আলােয় । নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত অধুনালুপ্ত ইংরেজি মাসিক ভয়েস অব বাংলাদেশ সম্পাদনা করেছেন কয়েক বছর। প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ নান্দনিক নৈতিকতা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ (সমবায়, ১৯৮৪)। সর্বশেষ গ্রন্থ, প্রথম গল্প সংকলন, সালভাদর দালির মিস বাংলাদেশ (২০১৫, বাংলাপ্রকাশ)। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রয়েছে দুটি বই : বন্ধুর মুখ, শত্রুর ছায়া (২০১১, প্রথমা), মুক্তিযুদ্ধে সােভিয়েত বন্ধুরা (২০১৩, প্রথমা) ও একাত্তর, যেভাবে শুরু (২০১৬, সময়)।
(জন্ম: ২২ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৬) পুরো নাম আনু মুহাম্মদ আনিসুর রহমান হলেও আনু মুহাম্মদ নামেই অধিক পরিচিত, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক। ঢাকায় লেখাপড়া শেষ করে ১৯৮২ থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে যোগদান করেন। এছাড়া একই বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগেও শিক্ষকতা করেছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী শোষণ, বৈষম্য, নিপীড়ন ও আধিপত্য বিরোধী তত্ত্বচর্চা ও লড়াইয়ে সক্রিয় অংশ নেন। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদে জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনসহ যে কোন প্রকার নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করেন। বর্তমানে তিনি তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব। বাংলাদেশে মার্কসীয় অর্থনীতি ও রাজনৈতিক অর্থনীতি সংক্রান্ত আলোচনায় তিনি সবচেয়ে পরিচিত লেখক।
পুরনাে ঢাকার মাহুতটুলির নানাবাড়িতে কাইজার চৌধুরীর জন্ম ১৯৪৯ সালের ১৫ নভেম্বর। বাবা আমিনুল হক চৌধুরী, মা নূর আক্তার বানু ।। খুলনার মিসেস ডি বেইলস্ প্রাইভেট ইংলিশ ডে স্কুল, ঢাকার গেন্ডারিয়া মুসলিম হাইস্কুল, সেন্ট ফ্রান্সিস, সেন্ট গ্রেগরিজ এবং আরও তিনটে স্কুলের উঠোন পেরিয়ে অবশেষে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি থেকে এসএসসি পাস করেন ১৯৬৭ সালে। নটরডেম কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক (১৯৭২) ও স্নাতকোত্তর (১৯৭৩) ডিগ্রি লাভের মধ্য দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সমাপ্তি।। শিল্পসাহিত্যের পাশাপাশি চলচ্চিত্র নিয়েও গভীর উৎসাহ তাঁর। লাতিন আমেরিকান ও প্রতিবাদী চলচ্চিত্র সম্পর্কিত কিছু প্রবন্ধ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সংসদ প্রকাশিত ‘ধ্রুপদী’ ও ‘চলচ্চিত্রপত্রে’ হয়েছে। এই রচনাগুলাে বাদ দিলে অবশিষ্ট যা থাকে, তার পুরােটাই শিশুতােষ রচনা এবং এই রচনার জন্যই পুরস্কৃত হয়েছেন বহুবার-অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার, চন্দ্রাবতী স্বর্ণপদক, কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ সাহিত্য পুরস্কার, ছােটদের কাগজ শিশুসাহিত্য পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার ইত্যাদি। স্ত্রী সাথী, পুত্র ফারদীন ও কন্যা মায়িশাকে ঘিরে ঢাকার উত্তরায় ‘স্বর্লোক'-এ রচিত হয়েছে তার নিজস্ব নিবাস।
জন্ম ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৬৩। শৈশব-কৈশাের কেটেছে পুরােনাে ঢাকার অলিতে-গলিতে।। কবি হিসেবে আত্মপ্রকাশ ১৯৮০-র দশকে। কবিতা প্রকাশিত হয়েছে দেশিবিদেশি সাহিত্যপত্র ও সংকলনগ্রন্থে। অনূদিত হয়েছে একাধিক ভাষায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে । ডব্লিউ ডব্লিউ নর্টন অ্যান্ড কোম্পানি প্রকাশিত ল্যাঙ্গুয়েজ ফর তা নিউ সেগুরি: টেম্পােরারি পােলট্রি ফ্রম দ্য মিডল ইষ্ট, এশিয়া অ্যান্ড বিয়ন্ড (২০০৮) এবং জার্মান সরকার প্রকাশিত পােয়েটস ট্রান্সলেটিং পােয়েটস (২০১৬) গ্রন্থে। অনুবাদ করেছেন কবিতা। প্রবন্ধ লিখেছেন বিচিত্র বিষয়ে। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ হরিচিকিৎসা (২০০৬), প্রবন্ধগ্রন্থ যেখানে লিবার্টি মানে স্ট্যাচু। (২০০৯), অনূদিত কাব্যগ্রন্থ রক্ত ও অশ্রু গাথা: ফেদেরিকো গারসিয়া লােরকার। নির্বাচিত কবিতা (২০১২), রণজিৎ দাশের। সঙ্গে যৌথ সম্পাদনায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রকাশিত সংকলনগ্রন্থ বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ কবিতা (২০০৯)। পেশায় সাংবাদিক।
জন্ম ৭ জানুয়ারি ১৯৬৭, উকিলপাড়া, সুনামগঞ্জ, মা : লীলা এষ, বাবা : ভূপতি রঞ্জন এষ। সার্বক্ষণিক প্রচ্ছদশিল্পী। পাশাপাশি লিখেন। মূলত ছোটদের জন্য লিখলেও লিখতে পছন্দ করেন রহস্য কাহিনি। বড়দের। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত চল্লিশের অধিক বই প্রকাশিত হয়েছে।