মজিবুর রহমান স্মৃতি গ্রন্থাগার: প্রসঙ্গকথা ও আমাদের স্বপ্ন
প্রথাগত বিদ্যায়তন এখন দেশজুড়ে। স্কুল-কলেজের সংখ্যা যেমন বেড়েছে সেই হিসাবে বেড়েছে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের সংখ্যাও। কিন্তু সেই তুলনায় বাড়েনি গ্রন্থাগার বা পাঠাগারের সংখ্যা। যদিও গ্রন্থাগার হচ্ছে আলোকস্বভাবী মুক্তবিদ্যাপীঠ। কেননা একটা লাইব্রেরিকে কেন্দ্র করে সেই জনপদে গড়ে উঠতে পারে বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড। বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সৃজনশীলতা বিকাশে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উজ্জীবনে , মুক্তবুদ্ধিচর্চা ও শুভ বুদ্ধির প্রসার ঘটাতে এই আলোকিত প্রয়াস খুবই জরুরি। সেই স্বপ্নকে মাথায় নিয়েই দেশের উত্তর জনপদের সীমান্ত ঘেঁষা নঁওগা জেলার ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন ইউনিয়নের আগ্রাদ্বিগুন বাজারে চালু হয়েছে ‘মজিবুর রহমান স্মৃতি গ্রন্থাগার।
দেশের কৃতি স্থপতি ইকবাল হাবিবের নয়নকাড়া ডিজাইনে নির্মিত এই গ্রন্থাগারটি যে কোন উৎসুক মানুষের দৃষ্টি কাড়বে। হাজার হাজার নানাস্বাদের বইয়ের সমারোহে তৈরি এই গ্রন্থাগারটি সবার জন্য উম্মুক্ত। এখানে আছে পৃথিবীর সেরা চলচ্চিত্র দেখার সুবিধা। আছে সার্বক্ষণিক বিদ্যুত সুবিধা চালু রাখার বিকল্প সব ব্যবস্থা।ভবিষ্যতে এখানে থাকবে একটি অতিথিশালা।
পরিকল্পনা আছে এই গ্রন্থাগারকে কেন্দ্র করে আয়োজন করা হবে সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক বুদ্ধিবৃত্তিক, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক আয়োজন। থাকবে বাৎসরিক বইমেলা ও সাংস্কৃতিক মেলা। এই এলাকার বিভিন্ন শিক্ষায়তনের বিদ্যার্থিদের জন্য আয়োজন করা হবে নিয়মিতভাবে জ্ঞানভিত্তিক পাঠচক্র, চলচ্চিত্রচক্রসহ সৃজনশীল শাখার সকল বিষয়ে রসাস্বাদনের জন্য কর্মশালা। সেখানে অংশ নেবেন দেশ ও বিদেশের কৃতি মানুষেরা। থাকবে বিভিন্ন দেশের সামাজিক কাজে জড়িত তরুণদের সাথে পারস্পরিক শিখন বিনিময় কর্মসূচি।
জ্ঞান ও সাংস্কৃতিক কর্মযজ্ঞের মধ্য দিয়ে এই গ্রন্থাগারটি হয়ে উঠবে এই প্রান্তিক জনপদের এক তীর্থভুমি। জ্ঞানপিপাসু, আলোকসন্ধানী মানুষদের এক মিলনমেলা। আমাদের স্বপ্ন একদিন এই এলাকার নবসভ্যতার উৎসভূমি হিসাবে ন্বীকৃত হবে এই গ্রন্থাগারটি।